জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১১

দৃষ্টিভঙ্গি : জীবনের নেপথ্য নায়ক

জীবনকে যদি একটি যানবাহন হিসেবে কল্পনা করি তবে এর ড্রাইভিং সিটে যে বসার যোগ্যতা রাখে সে হলো মানুষের দেখার চোখ। পৃথিবীর রং রূপ দেখার জন্যে চামড়ার চোখ নয়, উপলব্ধির চোখ, অনুধাবনের চোখ অর্থাৎ মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি। একটি ঘটনাকে দেখে বা বিশ্লেষণ করে আমরা এর ভেতরে ভালো কিছু পেতে পারি, যা আমাদের ভেতরে আশাবাদ জাগাবে। আবার একই ঘটনাকে এমনভাবে বিশ্লেষণ করা যায় যা আমাদের ভেতরে নিরাশার অনুভূতি সৃষ্টি করবে।
দৃষ্টিভঙ্গি দু’রকমের- একটি হলো ইতিবাচক বা প্রো-একটিভ দৃষ্টিভঙ্গি যা ধারণ করে বিশ্বাস, ক্রমাগত প্রচেষ্টার মানসিকতা এবং সর্বাবস্থায় শুকরিয়া। অন্যদিকে রয়েছে নেতিবাচক বা রি-একটিভ দৃষ্টিভঙ্গি যা কেবল দেখে হতাশা, ব্যর্থতা আর অন্যকে দোষারোপ করায় যার সার্বক্ষনিক ব্যস্ততা। শুধুমাত্র এই নেতিবাচক বা ভ্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গির কারণেই আমরা ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলি আমাদের প্রতিদিনের জীবনকে, পারষ্পারিক সম্পর্কগুলোকে, কর্মক্ষেত্রকে এমনকি আমাদের চারপাশের জগৎটাকেই। ভ্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গির দাবানল থেকে রক্ষা পায় না জীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ- সুস্থতাও। মানুষ রোগ যন্ত্রণাকে নিয়তি বলে মেনে নিয়ে কাটিয়ে দেয় বছরের পর বছর।
কেন দৃষ্টিভঙ্গি বদলাবো? আমরা শুধু জীবন বদলের বুলি আওড়াই কিন্তু চালকের আসনে যে বসে আছে তার অযোগ্যতার কারণেই যে এত সব দুঃখ-দারিদ্র-রোগ-শোক তা আর উপলব্ধি করি না। তাই জীবন বদলানোর আগে প্রয়োজন দৃষ্টিভঙ্গি বদলানো।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন