জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

আমি ভাবতে চাইনি জীবনের পুরু-ভাব!

মাঝে মাঝে কোন কারন ছাড়াই অস্থির লাগে । অনেক বুড়ো বটগাছের সাথে তুলনা করলে আমার পাতায় এখনো লাগেনি ঠিক মত সবুজের ছোপ, মায়াবী কোন বাতাসের কাঁপন, কিংবা দামাল ঢেউ । পকেটে হাত দিলে এখনো নুড়ি কুড়োনো দুপুর, ভাপের মাঝে হাত পুড়ানো সকালের নাস্তা, কিংবা মুখ কান ঢাকা ভয়ের রাতে কাঁথার অন্ধকার । সে বেলা একটুও মনে জাগেনি এই চলে যাচ্ছে আমার - জীরাফের গ্রীবার মত রাজকীয় দিন স্বপ্নপুরির রহস্যহীন কল্পলোকের মায়া ।

অন্যখানে আরো বেশি গুপ্তধন । ইচ্ছে হলেই রাশি রাশি লাল নীল বাদামি কটকটি আর হাওয়াই মিঠাই লোভে ছুট লাগানো পথের বাঁক । লুকোনো চিঠির ভালোবাসাবাসি । রাশভারি চোখে চশমা আর দুই হাত পিছে বেঁধে স্তুম্ভ, দম্ভ, গর্ব আর অহংকারি কলমীলতার সাদা আলপনা বড্ড লোভনীয় ছিলো ।

সভ্যতা কিংবা মানুষের ইতিহাস! না চাইলেও ঝুটি পাকিয়ে বেনুনী, সমতল থেকে পাহাড়ি উপত্তকার দম্ভে কিংবা মসৃন কণ্ঠের কণ্ঠার হাড়, বিরান ভূমিতে মৃদু ঝোপঝাড় আলাদা করে, জীবনের ডুমুর ফল আর ইচিংবিচিং সরল জীবনে ঢুকেযায় স্তব্ধ করতল, জঙ্ঘা, উরুর অলিখিত বালুকা বেলা ।
শুরুতে সব কিছু বড্ড ঝকঝকে শিহরনের নাজানা লুকোনো ডায়রী । টুকটাক দু’কলম লিখে লুকিয়েও কত সুখ কিছু জানা কিছু নাজানায় । সীমারেখায় এসে কুসুম কুড়োনো ভোর, কাঁকড়ের দুপুর, কিংবা আতশ ফুরিয়ে কালো কালো দানার বাজি গুলোর মতই শ্যতলা সন্ধ্যায় ঘনঘন জল বিয়োগের রোগী । চোখের খ্যচড়া চাহনী, দাতকপাটির বাঁকে বাঁকে কালো থিকথিকে পুরোনো অবহেলার ছোপ । বাতাসে ধুমসো স্বপ্নের বিরক্তিকর চুড়মাড় ।

তবুও পাকে রুগ্ন ফলগুলো অথবা পাকতেই হবে বলে জোছনা কিংবা জলের মাঝে আলুথালু কাব্য চলে । বিশুদ্ধ গন্ধের নারীর খোঁজে চন্দ্রাহত কোন মাতাল ছরছর করে জলের খেলায় মাতে লেংচে চলা কুকুরের একপা তোলা নাচের মুদ্রায়। টেরিকাটা আবেগে ধোপদুরস্ত সিংহপুরুষ খুঁজেফিরে শ্মশানের কল্কিপোড়া ফুলেল ফ্রকের ডুরেপাড় নারী । শিশুরা হারায় বালক বালিকার জীবনে । বালক বালিকার হাতে রমরমা সভ্যতার কুচক্রি মলাট ।

এতো এতো কারনের পরেও কেবল কারনহীন ভাবে অসাধারন জীবন সাধারন ধ্যনে বয়ে চলা । না মাঝি না নৌকা না মেঘ না আকাশের মাছ কিংবা পাখির স্বপ্নে

 collected