বৃহস্পতিবার, ২৯ মার্চ, ২০১২

দ্বিধা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর


এসেছিলু তবু আস নাই, তাই
জানায়ে গেলে
সমুখের পথে পলাতকা পদ-পতন ফেলে।
তোমার সে উদাসীনতা
উপহাসভরে জানালো কি মোর দীনতা।
সে কি চল-করা অবহেলা, জানি না সে-
চপল চরণ সত্য কি ঘাসে ঘাসে
গেল উপেক্ষা মেলে।
পাতায় পাতায় ফোঁটা ফোঁটা ঝরে জল,
ছলছল করে শ্যাম বনাস্ততল।

তুমি কোথা দুরে কুঞ্জছায়াতে
মিলে গেলে কলমুখর মায়াতে,
পিছে পিছে তব ছায়ারৌদ্রের
খেলা গেলে তুমি খেলে।
বাহিরেতে

দ্বিধা


কোথাও কোন শব্দ নেই-
নিঃশব্দ, নৈঃশব্দ্য সূচকীয় উঠানামা আলোয়
অন্তর্গত নিঃশ্বাস শেষে;
ফিরে আসা ফের-
নীরবতার ভেতরেই অবিন্যস্ত উদভ্রান্তি
নাকের শিয়রে ঘাম জমে-
ঘন বৃত্তে শ্লথ হয় দ্বিধা
চেনা রাস্তা দিয়েই রাত্রি গড়ায়-
ক্রমশ জটিলতার দিকে…
উদ্দাম অরণ্যের মতো দ্বিধারা জাগে;
দুপুরের শব্দ চুরমার হয়
সমস্ত আলোড়নে
শারীরিক দ্বিধা-
ক্ষয়ে যায় বিগলিত হাটুসমেত;
জোছনার হাত ধরে বেড়ে ওঠে হরিণী সংশয়।
ঝাপসা চশমার ফাঁকে,
লৌকিক ব্যাখ্যায় কাতর হয় স্বপ্নগুলো