রবিবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০১২

মনের গহিনে










মনের গহীনে চোখ রাখলে দেখি এক অন্ধকার গলিপথ। কেউ নেই, যেন অন্য পৃথিবী। ওই অন্ধকার রাস্তা দেখলে কেমন যেন ভয় করে উঠে। নিজেকেই জিজ্ঞেস করি তবে এই অন্ধকার পথ ধারন করে থাকা হয় কিভাবে? তাইতো কিভাবে আছি এতকাল!! আসলে পথ হারিয়ে ফেলেছিলাম, আমার পথে হাটে না কেউ বহুকাল। তাই পথ চিনিনা। আজও কি চিনি? আমি একাকি অনেক দিন, অন্তরাত্মার সাথে সন্ধি করে চলেছি, খুজেছি কিন্তু পাইনি আমার পথ। তবুও আমার আকাশে মেঘ জমে ব্যাকুল হয়ে বৃষ্টি ঝরে কখনও। আমিও সুড়ঙ্গের শেষে আলোকিত মুখ খুজি। যেখানে সাগরের বিশালতা আর্দ্র বায়ুতে খেলা করে। আমি ভিজে বালিতে স্নান করি। অথবা বুদ্ধদেব বসুর, ঠুঠার মত নাঙ্গা বাইগিনের খোজ করি। গভীর অরন্যে খুজব সেই অরণ্য দেবীকে। বনের বুনো গন্ধের ঘোর নেশায় নিজেকে হারাই।

কখনও বড় ইচ্ছে করে আটপৌরে আমার এই মনের, জানালার পাশে বাদলও ধারা ঝরছে আর আমি রবীন্দ্রনাথের কোন গভীর চরিত্র হয়ে মনঝড়ে ভিজে চলেছি। অযুত নিযুত গান লিখবে কবি আমাকে নিয়ে। বড় বেশী চাওয়া! না হয় একটা নীল মেঘের গানই হোক। বুকের ভিতর কি থাকে, কেন না পাওয়ার ব্যাথাটা এত তীব্র। নীল অপরাজিতার মত কেবলই নীল হই। রাত শেষের কুয়াসার অন্তরালে অতৃপ্ত আত্মার মত ঘুরছি। আমি মাছরাঙ্গা হই, আমার নরম নীল পালকে কোমল রোদ্দুর ছুয়ে যায়। আমি গাছের ফাক দিয়ে আসা সূর্য রশ্মি হয়ে যাই, মুছিয়ে দেই শিশির সবুজ পল্লবের গা থেকে।

বাতাসে কোথাও ফিসফিসিয়ে কথা হয় "এস জল হই সবুজ পাতায় গড়িয়ে পড়ি, মৃত্তিকায় মিশি উদ্ভিদ শুষে নিবে, তারপর শিরা উপশিরা বেয়ে পাতা হয়ে বেরিয়ে যাব হাওয়ায়।" শিরশিরে ইচ্ছে জাগে, আনন্দ হই, অধরা রহস্য হই, বেদনার্ত মনের নীলকে হলুদ আলোতে মিশিয়ে ভালোবাসার বেগুনি হই।


( সংগৃহীত )

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন