রবিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১১

কিছু কিছু



“এ পার ও পার”
               হাসান


মানুষ তার সব কিছু হারাইয়া , সরবশান্ত হইয়া কুক্ষিগত করিতে থাকে এই বলে যে তার পৃথিবীতে বাচার মত আর কোন আশা নেই ।
পরক্ষনে আমি ইহা ভাবিয়া অবাক হইলাম যে আমার জীবন হইতে কি যেন হারাইয়া গেছে যাহাতে আমার সকল সুখ ও দুঃখ অনুভূতি হারাইয়া গেছে । তথাপি  আমি ইহাতে আমার মনের নিগুর মনোযোগ টুকু অকপটে ঢালিয়া দিয়া নিচ্চিন্তের পথ ধরিতে পারিলাম নহে। কেহ যে আমার মনটাকে একবার এ প্রান্তে আনিয়া আবার অপর প্রান্তে নিয়া দুধ কলা খাওইয়া বরই আপ্যায়ন করিতেছে তাহাতে আমার লেশমাত্র সন্দেহ রহিল না ........................।

             (বিঃ দ্রঃ   শরৎচন্দ্র হইবার সাধ হইয়াছে ,  তাই চেষ্টা করিতেছি।    চলিবে............)



“সংশয়ে সংকল্প সদা টলে .........”
কামিনি রায়  এর কথাটি আমার জীবনকে  খুব বেশি  করে পর্যবেক্ষণ করিতেছে । পথের বাকে দারিয়ে ভাবিতে থাকি পথ কোন তীরে গিয়ে পারি জমাইবে । এমন হইতে পারে এ আমার দূরদর্শিতার অভাব ।
আজকাল আমি প্রায় ভাবিতে থাকি কোন নদিতেই বা আমি বইঠা হাতে বসিয়া আছি ,কোন তীরে নদী ভিড়াইবার জন্য । সবখানে একটা ইতস্তত ভাব থাকিয়া যাই । শেষমেশ আমি ঠিক বুঝিয়া উঠিতে  পারিনা যে কি আমাকে করিতে হবে । সকল কিছু ভাবিলে বুকের মধ্য একটা চাপা উত্তেজনা কাজ করে ।



মানুষ অনেক কিছু হারাইয়া , সর্বস্বান্ত হইয়া, নিজেকে শুন্য ভাবিয়া নিঃস্বতাই ও একাকীত্বে হাহাকার তোলে । তাহার জীবনের সমস্ত চলার মনঃশক্তি  চালিকা বস্তু হারাইতে বসিয়া শুধু অকুল পাথার ভাবিয়া থাকেন । পূর্বসূত্রে ইহা ভাবিয়া আমারও বারংবার এই প্রশ্ন মনে মনে জাগিল যে কি এমন চরম পরম রত্ন আমি আমার জীবন হইতে হারাইয়া ফেলিয়াছি যে আমাকে তাহা এত একা এত অসহায় করিতে বাধ্য করিতেছে । যাহা সকলের  বোধগম্য নয় তাহা সকলের মাঝে প্রকাশ করার একটা বৃথা চেষ্টা করিতেছি ভাবিয়া মনে মনে একটু বিচলিত হইয়াও আবার তাহাই করিতে বসিয়াছি । যাহা আমার মনে শত শত বার নয় হাজার বার প্রশ্ন করিয়া দ্বার প্রান্ত হইতে উত্তর না পাইয়া ফিরিয়া যাইতেছে , নিজের জন্য না হইলেই তাহার জন্য মনটা বড়ই  কাঁদিতেছে  জ্ঞান সাধনে নিমগ্ন হইয়া আবার সহসা আবির্ভূত সমস্যাই ভয় ও সঙ্কোচ বোধ করিয়া আবারো পূর্ব আসনে অধিষ্ঠিত হওয়া বোকামি ছাড়া আর কিছুই হইতে পারে  না । তথাপি আমি ইহাতে আমার মনের নিগুড় রহস্যটুকু অকপটে ঢালিয়া দিয়া নিচ্চিন্তের পথ ধরিতে পারিলাম নহে । কেহ যে আমার মনটাকে অসীম সীমানার একপ্রান্ত হইতে অপর প্রান্তে তাড়িয়া আবার সেই প্রান্তে আনিয়া দুধ কলা খাওইয়া বড়ই আপ্যায়ন করিতেছে তাহাতে আমার লেশমাত্র সন্দেহ রহিল নয় । কি সেই বস্তু যে আমাকে ভুলাইয়া আমার আমিকে বারংবার বিড়ম্বনাই ফেলিয়া  দূর হইতে দাঁড়াইয়া দাঁড়াইয়া তামাশা দেখিবার তরে আমাকেই শুধু নিরীক্ষণ করিতেছে তাহা কোনও ঐশ্বর্য হোক , কিংবা রমনীর রূপ , অথবা অতৃপ্ত ভালবাসা , আর ছিন্নছাড়া রিক্তের বেদনই হোক সেকি আমাকে এখনওঁ আমাকে চিনিতে পারিল না নাকি মনে মনে ভাবিতেছে যে এসো হে বন্ধু আমিতো তোমার অপেক্ষায় চাঁদ ওঁ সূর্যের লুকোচুরি খেলা দেখিয়া সময় কাটাইতেছি । আজ তোমাকে পেয়ে বড়ই আনন্দ বোধ করিতেছি । আজ আমাদের মিলনের পথে নেই কোনও বাঁধা বিপত্তি । আজ আমরা দুজনে গলা ধরিয়া স্বর্গের সোপানে হাঁটিয়া যাইব । 

1 টি মন্তব্য: